বগুড়া আকবরিয়া গ্র্রান্ড হেটেলের মানবতা
![]() |
লেখক |
![]() |
আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেল, বগুড়া |
-কে সি মিলান
আমার কাছে মানুষের সেবা করাই মানবতা। অসংখ্য শব্দের গাঁথুনিতে যেমন এই মনবতার বিষয়টিকে দীঘর্ আকারে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে আবার মাত্র দুটি বাক্য দিয়েও এর প্রকৃত অর্থ কি তা বলা যেতে পারে। যেমন:
১. অন্যদের যখন সহায্যের প্রয়োজন সেই সময় নিজ স্বার্থ ভুলে যেয়ে অন্যদের সাহায্য করা।
২. পৃথিবীতে যত প্রাণ ও প্রাণী আছে তাদের প্রত্যেককে নিঃশর্তভাবে ভালবাসা।
আমার কাছে মানুষের সেবা করাই মানবতা। অসংখ্য শব্দের গাঁথুনিতে যেমন এই মনবতার বিষয়টিকে দীঘর্ আকারে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে আবার মাত্র দুটি বাক্য দিয়েও এর প্রকৃত অর্থ কি তা বলা যেতে পারে। যেমন:
১. অন্যদের যখন সহায্যের প্রয়োজন সেই সময় নিজ স্বার্থ ভুলে যেয়ে অন্যদের সাহায্য করা।
২. পৃথিবীতে যত প্রাণ ও প্রাণী আছে তাদের প্রত্যেককে নিঃশর্তভাবে ভালবাসা।
সমগ্র মাানবজাতির ও পৃথিবীর কল্যাণের জন্য মানবতা একটি অত্যাবশ্কীয় উপাদান। কিন্তু বাস্তবে মানবতা খুব বেশি দেখা যায় না। অনেকটা বিরলই বলা যেতে পারে। তবে বিরল হলেও মানবতা বিরাজমান। সংখ্যায় খুব কম হলেও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই মানবতার বহিঃপ্রকাশ স্বরুপ মানবিক কর্মকান্ড হচ্ছে তা দেখা যায়।
মানুষ মানবতার বহিঃপ্রকাশ স্বরুপ বিভিন্নভাবে মহৎ মহৎ কাজ করতে পারে। আর তা করতে পারে ব্যক্তিগতভাবে অথবা দলগতভাবে অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও করতে পারে।
বগুড়ার প্র্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেল সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলোরই একটি যা বিগত বহু বছর ধরে মানুষ ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছে।
প্রতিদিন সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি রাত্রি যাপনের জন্য হোটেলটির আবাসিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে উচ্চ মান সম্পন্ন থাকার ব্যবস্থাও।
হোটেলটির তৈরি ফাস্ট ফুডের খাবারগুলোও খুবই স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
তবে হেটেলটির বিশেষ চমৎকার দিকটি হচ্ছে মানবতার জন্য ভালবাসা ও মানুষের জন্য কাজ করা যা নিঃসন্দেহে মানবতা বলা যেতে পারে।
মানবতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আকরিয়া গ্রান্ড হোটেল প্রতি রাতে ১০০ জনেরও বেশি ক্ষুধার্ত মানুষকে বিনা মূল্যে খাইয়ে থাকে।
হোটেলটি থানা রোডের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। যদি কেউ এই পথ ধরে এগিয়ে যায় তাহলে দেখতে পাবে শহরের ভিক্ষুকেরা, ক্ষুধার্ত নারী পুরুষ ও শিশুরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
১২টা বাজার সাথে সাথে দেখা যাবে হোটেল কর্মচারীরা বড় বড় হাঁড়ি পাতিল নিয়ে বেড়িয়ে এসে এই সব ক্ষুধার্ত মানুষদের থালা বাটিতে গরম গরম ভাত, ডাল, সব্জি, মাছ অথবা মাংস পরিবেশন করতে শুরু করেছে।
আমার বিশ্বাস যে কেউ হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই দৃশ্যটি দেখবে অন্তত মনে মনে বলবে সত্যিই এটি খুবই ভাল কাজ, খুবই মহৎ কাজ। দেশের যত সব বিত্তবান লোক রয়েছে, সমিতি, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদেরও উচিৎ এই মহৎ কাজটি করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন